গ্রীষ্মের প্রথম রবির কিরনের উষ্ণতা
আম্র বাগানের কাঁচা গন্ধের উন্মাদনা,
পবন বইছে বুঝি বলতে কানে কানে
করো বরন নতুন রে আজি,
নিয়ে ভরা আনন্দ সকল মনে ও প্রানে।
বিকেলের আকাশ সেজেছে পরে কালো ভূষণ
দমকা হাওয়া তান্দবের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিবরন
নানা বর্ণের রেশমি চুড়ির সেই রিনিঝিনি
বেলফুল জড়ানো কবরী আর ললাটের, লাল টিপখানি,
উচ্ছ্বাসে আজ করছে তাকে আমন্ত্রন
বোশেখ তুমি চির স্বাগত, বাঙ্গালির বাংলা সন ।
গ্রামে গঞ্জে শহরে বন্দরে খুব চলছে মেলা
কদমা, বাতাসার, হাজার পসরা বসেছে
উপচে করে সব ডালা।
ভিড়ছে সবাই চরকি, সাপুড়ে আর বাইস্কপের কাছে
ছোট্ট সোনাটার রেখোগো খেয়াল
হারিয়ে না যায় পাছে।
কৃষাণ কৃষাণীর মুখেতে হাসি
নতুন ধানে উঠছে গোলা সাজি
নব হাল খাতা খুলছে দোকান দোকানি
করে মিষ্টি সবার মুখখানি,
ভাজা ইলিশ আর পান্তা ভাতে
হরেক ভর্তা সাজিয়ে উঠছে পাতেতে
পুরে রসালো রঙ্গিন পান মুখে
হাসছে বাঙালি আজ কত যে সুখে।
একবিংশ শতাব্দীর এত আধুনিকতায়
এত জগত জোড়া সংস্কৃতির মিশ্রণে
যখন কইছে সবে, সব গেছে রসাতলে
বাঙলায় আজ বাঙ্গালিতে নাকি হচ্ছে মেশানো ভেজাল
হারিয়ে যাওনি তুমি হে বৈশাখ
আছো তুমি প্রতিটি বাঙ্গালির হৃদয় জুড়ে
নিয়ে শাশ্বত বাঙ্গালিয়ানার ইন্দ্রজাল।
লেখাঃ জুলিয়ানা জেসমিন বনি